কর্ণফুলি নদী রাংগুনিয়া উপজেলার ঠিক মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে । এই নদী আমাদের এ উপজেলার প্রাকৃতিক সম্পদ যা প্রচুর জেলেদের রুজির ব্যবস্থা করেছে । কর্ণফুলী নদীবাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি প্রধান নদী। এটি ভারতের মিজোরামের লুসাই পাহাড়ে শুরু হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চট্টগ্রামেরপতেঙ্গার কাছে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। এই নদীর মোহনাতে বাংলাদেশের প্রধান সমূদ্র বন্দরচট্টগ্রাম বন্দর অবস্থিত। এই নদীর দৈর্ঘ্য ৩২০ কিলোমিটার।নামের ইতিকথাকর্ণফুলীনদীর নামের উৎস সম্পর্কে বিভিন্ন কাহিনী প্রচলিত আছে। কথিত আছেযে, আরাকানের এক রাজকন্যা চট্টগ্রামের এক আদিবাসী রাজপুত্রের প্রেমে পড়েন। এক জ্যোৎস্নাস্নাত রাতে তাঁরা দুই জন এই নদীতে নৌভ্রমণ উপভোগ করছিলেন। নদীর পানিতে চাঁদের প্রতিফলন দেখার সময় রাজকন্যার কানে গোঁজা একটি ফুল পানিতেপড়ে যায়। ফুলটি হারিয়ে কাতর রাজকন্যা সেটা উদ্ধারেরজন্য পানিতে ঝাঁপিয়েপড়েন। কিন্তু প্রবল স্রোতে রাজকন্যা ভেসে যান, তাঁরআর খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাজপুত্র রাজকন্যাকে বাঁচাতে পানিতে লাফ দেন, কিন্তু সফল হন নি। রাজকন্যার শোকে রাজপুত্র পানিতে ডুবে আত্মাহুতি দেন। এইকরুণ কাহিনী থেকেইনদীটির নাম হয় 'কর্ণফুলী। মার্মা আদিবাসীদের কাছে নদীটির নাম কান্সা খিওং।কর্ণফুলী নদীর চর১৮৮৩সালে কর্ণফুলীর মোহনায় সৃষ্টি হয় লুকিয়া চর। ১৮৭৭ সালেজুলদিয়াচ্যানেল। জুলদিয়া চ্যানেলটি আড়াই মাইল দীর্ঘ এবং দেড় মাইলপ্রশস্ত।১৯০১ সাল থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে পতেঙ্গা চ্যানেলটি জুলদিয়াচ্যানেল থেকেপ্রায় দেড় হাজার ফুট পশ্চিমে সরে যায়। হালদা নদীর সাথেকর্ণফুলীর সংযোগস্থলে আছে বিশাল চর। যা হালদা চর হিসাবে পরিচিত। নদীরপ্রবাহের কিছু অংশনাজিরচর ঘেঁষে, কিছু অংশ বালু চ্যানেলের মধ্যে দিয়ে এবংকিছু মুল স্রোতহিসেবে প্রবাহিত হচ্ছে। ১৯৩০ সালে কালুরঘাট রেলওয়ে সেতুনির্মাণের আগেনদীর মূল প্রবাহ প্রধানত কুলাগাঁও অভিমুখে বাম তীর ঘেষেইপ্রবাহিত হত।কালুরঘাট সেতু হওয়ার পর সেতুর ডান দিকে আরও একটি প্রবাহের মুখতৈরি হয়।ফলে নদীর মাঝ পথে সৃষ্টি হয় বিশাল একটি চর- যা কুলাগাঁও চর নামেপরিচিত।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS